আপডেট: ১৮টা ২০ ১৮ই আগস্ট ২০২৩।
আব্দুল্লাহ আল মোমিন শিশির (বিশেষ প্রতিনিধি)।
বাংলাদেশ রেলওয়েকে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসার আপ্রাণ চেষ্টা করে বার বার ব্যার্থ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার। রেলওয়ের কিছু আসাধু কমকর্তার কারনে বাংলাদেশ সরকার এবং রেল মন্ত্রণালয় শত চেস্টায় ও থামছে না বাংলাদেশ রেলওয়ের দুর্নীতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে রেলমন্ত্রী কেউই যেন পারছেন না বাংলাদেশ রেলওয়ে এই দুর্নীতি থামাতে আর কিভাবেই বা থামাবেন যেখানে ঘরের শত্রুই বিভিষন।
রেলওয়ের কিছু আসাধু কমকর্তা এবং দুর্নীতিবাজ অসাধু কিছু ঠিকাদারদের কারনে বাংলাদেশ সরকার এবং রেল মন্ত্রণালয় শত চেস্টায় ও থামছে না বাংলাদেশ রেলওয়ের দুর্নীতি। একটি সুচ কেনা থেকে শুরু করে রেলের বগি কেনা সবখানেই যেন চলছে দুর্নীতির মহাউৎসব।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সব বিভাগের মধ্যে বানিজ্যিক বিভাগের দুর্নীতি চোখে পড়ার মতো। বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়মনীতির তোযাক্কা না করেই ঢাকা গামী নৈশ ট্রেনের উচ্চ শ্রেণির যাত্রীদের ব্যবরত বেডিং ও ট্রাফিক রানিং রুম সমুহের ব্যবরত বেডিং সামগ্রী ধোলাই ও ইস্ত্রি করন এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন স্টেশনে ডাস্টবিনে পলিথিন সরবরাহ সাভিসিং এবং সংরক্ষনের টেন্ডার্টি দুই বছরের সময় সীমা শেষ হওয়ার পর ও নতুন করে টেন্ডার আহব্বান না করে তা আবার আগের ঠিকাদার ওয়ালিউর রহমানের প্রতিষ্ঠান ভাই ভাই লন্ডি এবং ওয়াদিকা সাভিস এর কাছেই নাম মাত্র মুল্যেই বছরের পর বছর নবায়ন করে আসছে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল সি সি এম বিভাগের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাজমুল হাসান। এতে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিপুল অংকের রাজ্বস্ব ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
ঠিকাদার ওয়ালিউর রহমানের এই প্রতিষ্ঠান দুইটির একটি ভাই ভাই লন্ডি ২০১৬ সালের ২৯ শে সেপ্টেম্বরের অনুবৃক্তি ক্রমে এবং ওযাদিকা সাভিস ২০১৮ সালের ১৮ই জানুয়ারি অনুবৃক্তি ক্রমে থেকে টেন্ডার দুটি পেয়ে আসছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী সরকার যদি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে আয় করে তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানের টেন্ডার অনুবৃক্তি ক্রমে বাড়ানো যায় কিন্তু সরকার যদি ব্যায় করে তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানের কাজের মান ভালো হলে সর্বোচ্চ মোট দুই বার একই প্রতিষ্ঠান কে টেন্ডার দেয়া যাবে। এরপরে নতুন টেন্ডার আহ্বান করতে হবে। কিন্তু এই দুই প্রতিষ্ঠানকে রেলওয়ের কোন নিযম নীতির তোযাক্কা না করে বছরের পর বছর নাম মাত্র মুল্যে ওয়ালিউর রহমানের এই দুই প্রতিষ্ঠানের টেন্ডার নবায়ন করে দিচ্ছে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল সি সি এম বিভাগের দুর্নীতিবাজ কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকতা, এর ফলে সরকার হারাচ্ছে তার রাজ্বস্ব আর পকেট ভারী করছে দুর্নীতিবাজ এই উচ্চপদস্থ কর্মকতার।
এই দুই প্রতিষ্ঠানের মালিক ওয়ালিউর রহমান সিসিএম বিভাগের এই দুর্নীতিবাজ উচ্চপদস্থ কর্মকতাদের ক্ষমতায় এতটাই ক্ষমতাধর যে তার ভয়ে অন্য সাধারণ ঠিকাদাররা সিসিএম বিভাগে কোন কাজে আসতেই ভয় পান,এর কারণ জানা যায় নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক ঠিকাদারের কাছে তিনি বলেন, ছোট কোন টেন্ডার ও যদি আমরা সাধারণ ঠিকাদার পেয়ে থাকি সেখানে ও এই ওয়ালিউরকে দিয়ে হয় কমিশন, না দিলে টেন্ডার পেপারে সই করেন না সিসিএম বিভাগের এই দুর্নীতিবাজ উচ্চপদস্থ কর্মকতারা।
এই ওয়ালিউর শুধু কাভার ওয়াস ও পলিথিন সরবরাহই নই সিসিএম বিভাগের প্রায় সব কাজই তার দখলে। অন্ত নগর ট্রেন চট্রলা এক্সপ্রেস এবং জামালপুর এক্সপ্রেস এর ক্যাটারিং সার্ভিস ও তার দখলে। তার ক্যাটারিং সার্ভিসের বাসী পঁচা খাবার খেয়ে যাত্রীরা প্রায় অসুস্থ হয়ে যায়। এই খাবার নিযে আগে ৭১ সংবাদে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হলেও এই বিষয় এ সিসিএম বিভাগ ওয়ালিউর রহমানের চট্রলা এক্সপ্রেস এবং জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেন দুটিই কিছুই করেন নি। অথচ অন্য ট্রেনের খাবারের মান আগের থেকে এখন তুলনামূলক ভাবে অনেক ভালো হয়েছে। সিসিএম বিভাগের এই দুর্নীতিবাজ উচ্চপদস্থ কর্মকতাদের কারণেই এই ওয়ালিউর আজ শত কোটি টাকার মালিক। নামে বেনামে ঢাকা, চট্টগ্রামে আছে প্লট ও ফ্ল্যাট।
সুত্র মতে ট্রেনের ভিতর যে অগ্নিনিবর্পক মেশিন থাকে সেগুলো LTM টেন্ডারের মাধ্যমে ওয়ালিউর রহমান তার দখলে নিয়েছেন।
এই বিষয় নিয়ে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল জি, এম জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অনন্ত কাল তো আর একজনকে কাজ দেয়া যায় না, তবে এই সম্পর্কে আমি সম্পুর্ণ কিছু জানি না কারন এইটা সিসিএম বিভাগের কাজ তারাই আপনাকে সম্পুর্ণ বিষয়টি বলতে পারবেন।
এই বিষয় এর জন্য রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল সি সি এম বিভাগের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাজমুল হাসানের কাছে বক্তব্য নেওয়ার জন্য অনেক বার উনার মুটোফোনে এবং ওয়াটস আপ এ ফোন দেয়া হলে উনি রিসিভ করেন নি সবর্শেষ এসএমএস করে উনার কাছে বক্তব্যর জন্য সময় চাইলে সেটার উত্তর ও তিনি দেন নি।
রেলওয়ের এইসব দুনীতিগ্রস্থ কর্মকতা এবং অসাধু এই সব ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কারণে রেল বিভাগ যেমন বিপুল পরিমাণ অর্থের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে তেমনি হারাচ্ছে যাত্রী সেবার মান। রেলওয়েকে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসতে হলে অতিদ্রুত এইসব দুনীতিগ্রস্থ কর্মকতা এবং অসাধু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হবে।