ঢাকা ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম রেলস্টেশন এলাকার মাদক ও জুয়ার ব্যাবসা থামানো যাচ্ছে না কোনভাবেই।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:২২:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪
  • ২৩৬ Time View

৭১ সংবাদ প্রতিবেদন |
রবিবার ১৭ই মার্চ, ২০২৪.

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  সন্ত্রাস, মাদক, ও কিশোর গাং র বিরুদ্ধে ঘোষণা দিয়েছেন জিরো টলারেন্স।প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ও প্রশাসনের কড়া নজরদারির পরেও অদৃশ্য হাতের আশির্বাদে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় মাদকের আখড়া হিসাবে পরিচিত নতুন রেলষ্টেশন, পুরাতন রেলষ্টেশন, ব্রয়লার এভিনিউ বস্তি (হিরুনী কলোনির), সিআরবি চৌদ্দ জামতলা বস্তির মাদক ব্যাবসায়ী, ছিনতাইকারী এবং কিশোর গাং কে যেন কোন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না, এই সব এলাকায় বেড়েই চলেছে ছিনতাই, জুয়া, মাদক ও কিশোর গাংর দৌরাত্ম্য।

মাদককারবারীরা রেলপথ কে চট্টগ্রামের মাদক পরিবহনের প্রধান রুটে হিসাবে ব্যাবহারের ফলে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন নতুন রেলষ্টেশন ও পুরাতন রেলষ্টেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানটি এখন পুরোপুরি পরিনত হয়েছে জুয়া, মাদক, ছিনতাই ও মোবাইল চোরের হটস্পটে।  জুয়া, ছিনতাই, মাদকের পাশাপাশি প্রকাশ্যে চলছে অশালীন ব্যবসা। প্রাপ্ত বয়স্করা তো আছেই অত্র এলাকার উঠতি বয়সি যুবকরাও দিন দিন জড়িয়ে পড়ছে সর্বনাশা জুয়া ও মাদকে। নেশার ফলে এই এলাকাসহ আশেপাশের এলাকাগুলোতে বেড়েছে চুরি, ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড।

সবচেয়ে বড় মাদকের এই ব্যবসার প্রধান নিয়ন্ত্রন করে মাদক সম্রাজ্ঞীখ্যাত আলো আক্তার প্রকাশ খাল্লাম্মা (২৮)। আলো প্রকাশ খাল্লামার শুধু মাদক ব্যবসায় নয় এই সব এলাকার কিশোর গাং, জুয়া, ও  ছিনতাইকারীদের প্রধান মুল হোতাও সে। তার আবার রযেছে নয়টি মাদকের মামলা।

আলো আক্তার প্রকাশ খাল্লাম্মার কিশোর গাং,মাদক, জুয়া ও ছিনতাইয়ের এই বিশাল ব্যবসা নিযন্ত্রণ করে তার সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসাবে পরিচিত মোঃ জুয়েল প্রকাশ কাঙ্গাল জুয়েল প্রকাশে পুলিশের সোর্স জুয়েল, পাখি জুয়েল প্রকাশে কানা জুয়েল এবং তুলাতলীর শুক্কুর প্রকাশে সোর্স শুক্কুর।

তিনজনে নিযন্ত্রণ করে বিশাল এক  কিশোর গ্যাং। এই কিশোর গ্যাং দিয়ে তারা নিয়ন্ত্রন করে আলো প্রকাশ খালাম্মার মাদক, ছিনতাই, দেহ ব্যাবসা এবং জুয়ার বোর্ভ। এই তিনজনের হয়ে এই বাহিনীর দেখা শুনা করে জনি, শফিকুল, নাছির  ও সুমন।

কাঙ্গাল জুয়েল প্রকাশে পুলিশের সোস জুয়েল, এবং পাখি জুয়েল প্রকাশে কানা জুয়েল একটি মোটরসাইকেলে নাম্বার ( ১৬ – ২০৩৮ চট্টমেট্রো হ) চট্টগ্রামের একটি স্বনামধন্য পত্রিকা দৈনিক সাংগুর সাংবাদিক স্টিকার  ব্যবহার করে  রাউজান এবং রাঙামাটি থেকে  বাংলা মদ ও গাঁজা চট্টগ্রামে সরবরাহ করে। এবং বিভিন্ন লোকের কাছে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে করে চাঁদাবাজি ও।

এই বাহিনীর সুমন প্রধানত টাকা কালেকশন করে অবৈধ দেহ ব্যাবসার, শফিকুল কালেকশন  করে জুয়ার বোর্ডের টাকা। জনি কালেকশন করে ইয়াবা, গাঁজা, বিক্রির টাকা এবং নাছির কালেকশন করে অনলাইন জুয়া ও ছিনতাইকারীদের থেকে টাকা।

এলাকাবাসীর জন্য গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে আলো প্রকাশে খালাম্মা গ্রুপ।  নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এলাকাবাসীরা। স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনের কঠোর নজরদারির পারে ও এই সব এলাকায় বেড়েই চলেছে ছিনতাইকারী,  জুয়াড়ী ও মাদককারবারীদের দৌরাত্ম্য।  কোন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না তাদের।

প্রশাসন যদি অতি দ্রুত এই মাদক সম্রাজ্ঞী এবং তার এই বিশাল মাদক বিক্রির বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেয় তাহলে যুবসমাজ অতি দ্রুত তলিয়ে যাবে মাদকের কালো থাবায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

রামদা হাতে থাকা সেই সাজ্জাদ কে খুঁজছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম রেলস্টেশন এলাকার মাদক ও জুয়ার ব্যাবসা থামানো যাচ্ছে না কোনভাবেই।

Update Time : ০৪:২২:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪

৭১ সংবাদ প্রতিবেদন |
রবিবার ১৭ই মার্চ, ২০২৪.

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  সন্ত্রাস, মাদক, ও কিশোর গাং র বিরুদ্ধে ঘোষণা দিয়েছেন জিরো টলারেন্স।প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ও প্রশাসনের কড়া নজরদারির পরেও অদৃশ্য হাতের আশির্বাদে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় মাদকের আখড়া হিসাবে পরিচিত নতুন রেলষ্টেশন, পুরাতন রেলষ্টেশন, ব্রয়লার এভিনিউ বস্তি (হিরুনী কলোনির), সিআরবি চৌদ্দ জামতলা বস্তির মাদক ব্যাবসায়ী, ছিনতাইকারী এবং কিশোর গাং কে যেন কোন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না, এই সব এলাকায় বেড়েই চলেছে ছিনতাই, জুয়া, মাদক ও কিশোর গাংর দৌরাত্ম্য।

মাদককারবারীরা রেলপথ কে চট্টগ্রামের মাদক পরিবহনের প্রধান রুটে হিসাবে ব্যাবহারের ফলে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন নতুন রেলষ্টেশন ও পুরাতন রেলষ্টেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানটি এখন পুরোপুরি পরিনত হয়েছে জুয়া, মাদক, ছিনতাই ও মোবাইল চোরের হটস্পটে।  জুয়া, ছিনতাই, মাদকের পাশাপাশি প্রকাশ্যে চলছে অশালীন ব্যবসা। প্রাপ্ত বয়স্করা তো আছেই অত্র এলাকার উঠতি বয়সি যুবকরাও দিন দিন জড়িয়ে পড়ছে সর্বনাশা জুয়া ও মাদকে। নেশার ফলে এই এলাকাসহ আশেপাশের এলাকাগুলোতে বেড়েছে চুরি, ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড।

সবচেয়ে বড় মাদকের এই ব্যবসার প্রধান নিয়ন্ত্রন করে মাদক সম্রাজ্ঞীখ্যাত আলো আক্তার প্রকাশ খাল্লাম্মা (২৮)। আলো প্রকাশ খাল্লামার শুধু মাদক ব্যবসায় নয় এই সব এলাকার কিশোর গাং, জুয়া, ও  ছিনতাইকারীদের প্রধান মুল হোতাও সে। তার আবার রযেছে নয়টি মাদকের মামলা।

আলো আক্তার প্রকাশ খাল্লাম্মার কিশোর গাং,মাদক, জুয়া ও ছিনতাইয়ের এই বিশাল ব্যবসা নিযন্ত্রণ করে তার সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসাবে পরিচিত মোঃ জুয়েল প্রকাশ কাঙ্গাল জুয়েল প্রকাশে পুলিশের সোর্স জুয়েল, পাখি জুয়েল প্রকাশে কানা জুয়েল এবং তুলাতলীর শুক্কুর প্রকাশে সোর্স শুক্কুর।

তিনজনে নিযন্ত্রণ করে বিশাল এক  কিশোর গ্যাং। এই কিশোর গ্যাং দিয়ে তারা নিয়ন্ত্রন করে আলো প্রকাশ খালাম্মার মাদক, ছিনতাই, দেহ ব্যাবসা এবং জুয়ার বোর্ভ। এই তিনজনের হয়ে এই বাহিনীর দেখা শুনা করে জনি, শফিকুল, নাছির  ও সুমন।

কাঙ্গাল জুয়েল প্রকাশে পুলিশের সোস জুয়েল, এবং পাখি জুয়েল প্রকাশে কানা জুয়েল একটি মোটরসাইকেলে নাম্বার ( ১৬ – ২০৩৮ চট্টমেট্রো হ) চট্টগ্রামের একটি স্বনামধন্য পত্রিকা দৈনিক সাংগুর সাংবাদিক স্টিকার  ব্যবহার করে  রাউজান এবং রাঙামাটি থেকে  বাংলা মদ ও গাঁজা চট্টগ্রামে সরবরাহ করে। এবং বিভিন্ন লোকের কাছে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে করে চাঁদাবাজি ও।

এই বাহিনীর সুমন প্রধানত টাকা কালেকশন করে অবৈধ দেহ ব্যাবসার, শফিকুল কালেকশন  করে জুয়ার বোর্ডের টাকা। জনি কালেকশন করে ইয়াবা, গাঁজা, বিক্রির টাকা এবং নাছির কালেকশন করে অনলাইন জুয়া ও ছিনতাইকারীদের থেকে টাকা।

এলাকাবাসীর জন্য গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে আলো প্রকাশে খালাম্মা গ্রুপ।  নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এলাকাবাসীরা। স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনের কঠোর নজরদারির পারে ও এই সব এলাকায় বেড়েই চলেছে ছিনতাইকারী,  জুয়াড়ী ও মাদককারবারীদের দৌরাত্ম্য।  কোন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না তাদের।

প্রশাসন যদি অতি দ্রুত এই মাদক সম্রাজ্ঞী এবং তার এই বিশাল মাদক বিক্রির বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেয় তাহলে যুবসমাজ অতি দ্রুত তলিয়ে যাবে মাদকের কালো থাবায়।