ঢাকা ০৪:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের কাছে পাকিস্তানের লজ্জাজনক হার।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৫৭:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৮৪ Time View

৭১ সংবাদ অনলাইন সংস্করন।

১২ই সেপ্টেম্বর ১টা ৩০, এ. এম।

৭১সংবাদ নিউজ ডেস্ক: কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সোমবার এশিয়া কাপের সুপার ফোরে রিজার্ভ ডেতে গড়ানো ম্যাচে ২২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে পাকিস্তান। রানের ব্যবধানে ভারতের কাছে এটিই তাদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার।

নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২ উইকেটে ৩৫৬ রান তোলে ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিদের বিপক্ষে যা ভারতের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। জিততে হলে পাকিস্তানকেও করতে হতো রান তাড়ার রেকর্ড। কিন্তু তার ধারে কাছেও যেতে পারেনি দলটি। ৩২ ওভারে তারা গুটিয়ে যায় স্রেফ ১২৮ রানে।বিশাল লক্ষ্যে কোনো সময়ই মনে হয়নি পাকিস্তান ম্যাচ জিততে পারে। দলীয় ১৭ রানে ইমাম-উল হককে দিয়ে শুরু। এরপর নিয়মিত বিরতিতে ব্যাটারটা উইকেটে গেছেন আর এসেছেন। ত্রিশোর্ধো ইনিংস নেই কারো। সর্বোচ্চ জুটি ৩০ রানের। সর্বোচ্চ ২৭ রান ফখর জামানের। বাবর ১০ রানে ইনসাইড এজ বোল্ড হয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়ার বলে।

নতুন বলে কাজটা এগিয়ে রেখেছিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়া আর শার্দুল ঠাকুর। বাকি কাজটা নিখুঁতভাবে সেরেছেন কুলদিপ। ৮ ওভারে ২৫ রানে তার শিকার ৫ উইকেট। তবে ম্যাচের গল্প বলতে গেলে প্রথমেই আসবে ভারতের ব্যাটারদের কথা। জয়ের ভীতটা তো তাদেরই গড়া।

ম্যাচের নির্ধারিত প্রথম দিনে বৃষ্টির কারণে খেলা হতে পারে কেবল ২৪.১ ওভার। তাতে ভারতের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১৪৭ রান। পরের দিন রিজার্ভ ডেতে ভারতের কোনো উইকেটই নিতে পারেননি পাকিস্তানের বোলাররা। বাবর আজমদের কোনো পরিকল্পনাই কাজে লাগাতে দেননি লোকেশ রাহুল আর বিরাট কোহলি। দুজনেই তুলে নেন সেঞ্চুরি। তৃতীয় উইকেটে গড়েন ১৯৪ বলে ২৩৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। এশিয়া কাপে যা সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড।ঠিক ১০০ বলে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রাহুল। তার ১০৬ বলে ১১১ রানের ইনিংসে রয়েছে ১২টি চার ও দুটি ছক্কার মার।

কোহলি ক্যারিয়ারের ৪৭তম শতক পূর্ণ করেন ৮৪ বলে। তার মানে শচীন টেন্ডুলকারের ৪৯ সেঞ্চুরির রেকর্ডের আরও কাছে চলে গেলেন তিনি। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে কোহলির এটি টানা চতুর্থ সেঞ্চুরি। এক মাঠে টানা চার ম্যাচে সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে আর কেবল হাশিম আমলার (সেঞ্চুরিয়নে)।
এদিন দ্রুততম ব্যক্তি হিসেবে ওয়ানডেতে ১৩ হাজার রানও পূর্ণ করেন কোহলি। এজন্য তার লেগেছে মাত্র ২৬৭ ইনিংস। ৩২১ ইনিংস লেগেছিল টেন্ডুলকারের। ৯৪ বলে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১২২ রানে অপরাজিত থাকেন কোহলি। বল হাতে ১০ ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদি দেন ৭৯ রান। ১০ ওভারে ৭৪ রান দিয়েছেন ফাহিম আশরাফ। ওভার প্রতি সাতের নিচে রান দিয়েছেন কেবল নাসিম শাহ ও হারিস রউফ।

তবে সাইড স্ট্রেইন চোটের কারণে এদিন মাঠে নামতে পারেননি হারিস। পাকিস্তানের জন্য যা বড় ধাক্কা হয়ে আসে। গতকাল ৫ ওভার বল করেছিলেন এই পেসার। তাঁর জায়গায় বোলিং করা ইফতিখার আহমেদের প্রথম ৫ ওভারেই আসে ৪৬ রান। ম্যাচের মাঝেও ধাক্কা খায় পাকিস্তান। ৪৯তম ওভারে প্রথম ২ বল করে চোট পেয়ে উঠে যান নাসিম শাহও। পরে হারিস-নাসিমের কেউই ব্যাট করতে পারেননি।

বৃষ্টি আর ভিজে মাঠের কারণে এদিনও খেলা শুরু হয় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর। কোহলি ৮ আর রাহুল ১৭ রান নিয়ে দিন শুরু করেন। আগের দিন রোহিত শর্মা আর শুবমান গিলের ওপেনিং জুটি থেকে আসে ১২১ রান। দুজনেই আউট হন ফিফটি করেই। ২৫.৫ ওভারে পরের দিন ২০৯ রান তোলে ভারত। ভারতের ইনিংসে চার ৩৭টি, আর ছক্কার মার ৯টি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

রামদা হাতে থাকা সেই সাজ্জাদ কে খুঁজছে পুলিশ।

ভারতের কাছে পাকিস্তানের লজ্জাজনক হার।

Update Time : ০৭:৫৭:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

৭১ সংবাদ অনলাইন সংস্করন।

১২ই সেপ্টেম্বর ১টা ৩০, এ. এম।

৭১সংবাদ নিউজ ডেস্ক: কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সোমবার এশিয়া কাপের সুপার ফোরে রিজার্ভ ডেতে গড়ানো ম্যাচে ২২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে পাকিস্তান। রানের ব্যবধানে ভারতের কাছে এটিই তাদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার।

নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২ উইকেটে ৩৫৬ রান তোলে ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিদের বিপক্ষে যা ভারতের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। জিততে হলে পাকিস্তানকেও করতে হতো রান তাড়ার রেকর্ড। কিন্তু তার ধারে কাছেও যেতে পারেনি দলটি। ৩২ ওভারে তারা গুটিয়ে যায় স্রেফ ১২৮ রানে।বিশাল লক্ষ্যে কোনো সময়ই মনে হয়নি পাকিস্তান ম্যাচ জিততে পারে। দলীয় ১৭ রানে ইমাম-উল হককে দিয়ে শুরু। এরপর নিয়মিত বিরতিতে ব্যাটারটা উইকেটে গেছেন আর এসেছেন। ত্রিশোর্ধো ইনিংস নেই কারো। সর্বোচ্চ জুটি ৩০ রানের। সর্বোচ্চ ২৭ রান ফখর জামানের। বাবর ১০ রানে ইনসাইড এজ বোল্ড হয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়ার বলে।

নতুন বলে কাজটা এগিয়ে রেখেছিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়া আর শার্দুল ঠাকুর। বাকি কাজটা নিখুঁতভাবে সেরেছেন কুলদিপ। ৮ ওভারে ২৫ রানে তার শিকার ৫ উইকেট। তবে ম্যাচের গল্প বলতে গেলে প্রথমেই আসবে ভারতের ব্যাটারদের কথা। জয়ের ভীতটা তো তাদেরই গড়া।

ম্যাচের নির্ধারিত প্রথম দিনে বৃষ্টির কারণে খেলা হতে পারে কেবল ২৪.১ ওভার। তাতে ভারতের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১৪৭ রান। পরের দিন রিজার্ভ ডেতে ভারতের কোনো উইকেটই নিতে পারেননি পাকিস্তানের বোলাররা। বাবর আজমদের কোনো পরিকল্পনাই কাজে লাগাতে দেননি লোকেশ রাহুল আর বিরাট কোহলি। দুজনেই তুলে নেন সেঞ্চুরি। তৃতীয় উইকেটে গড়েন ১৯৪ বলে ২৩৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। এশিয়া কাপে যা সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড।ঠিক ১০০ বলে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রাহুল। তার ১০৬ বলে ১১১ রানের ইনিংসে রয়েছে ১২টি চার ও দুটি ছক্কার মার।

কোহলি ক্যারিয়ারের ৪৭তম শতক পূর্ণ করেন ৮৪ বলে। তার মানে শচীন টেন্ডুলকারের ৪৯ সেঞ্চুরির রেকর্ডের আরও কাছে চলে গেলেন তিনি। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে কোহলির এটি টানা চতুর্থ সেঞ্চুরি। এক মাঠে টানা চার ম্যাচে সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে আর কেবল হাশিম আমলার (সেঞ্চুরিয়নে)।
এদিন দ্রুততম ব্যক্তি হিসেবে ওয়ানডেতে ১৩ হাজার রানও পূর্ণ করেন কোহলি। এজন্য তার লেগেছে মাত্র ২৬৭ ইনিংস। ৩২১ ইনিংস লেগেছিল টেন্ডুলকারের। ৯৪ বলে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১২২ রানে অপরাজিত থাকেন কোহলি। বল হাতে ১০ ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদি দেন ৭৯ রান। ১০ ওভারে ৭৪ রান দিয়েছেন ফাহিম আশরাফ। ওভার প্রতি সাতের নিচে রান দিয়েছেন কেবল নাসিম শাহ ও হারিস রউফ।

তবে সাইড স্ট্রেইন চোটের কারণে এদিন মাঠে নামতে পারেননি হারিস। পাকিস্তানের জন্য যা বড় ধাক্কা হয়ে আসে। গতকাল ৫ ওভার বল করেছিলেন এই পেসার। তাঁর জায়গায় বোলিং করা ইফতিখার আহমেদের প্রথম ৫ ওভারেই আসে ৪৬ রান। ম্যাচের মাঝেও ধাক্কা খায় পাকিস্তান। ৪৯তম ওভারে প্রথম ২ বল করে চোট পেয়ে উঠে যান নাসিম শাহও। পরে হারিস-নাসিমের কেউই ব্যাট করতে পারেননি।

বৃষ্টি আর ভিজে মাঠের কারণে এদিনও খেলা শুরু হয় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর। কোহলি ৮ আর রাহুল ১৭ রান নিয়ে দিন শুরু করেন। আগের দিন রোহিত শর্মা আর শুবমান গিলের ওপেনিং জুটি থেকে আসে ১২১ রান। দুজনেই আউট হন ফিফটি করেই। ২৫.৫ ওভারে পরের দিন ২০৯ রান তোলে ভারত। ভারতের ইনিংসে চার ৩৭টি, আর ছক্কার মার ৯টি।