ঢাকা ০৯:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আখাউড়া থেকে আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:১৮:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৩৩৮ Time View

আখাউড়া থেকে আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল।

৭১ সংবাদ অনলাইন সংস্করন।
১৬ ই সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯টা:৫৫।

৭১ সংবাদ বিশেষ প্রতিনিধি: বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্ব) প্রধান প্রকৌশলী ও আখাউড়া–আগরতলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আবু জাফর মিঞার নেতৃত্বে আখাউড়া–আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের কাজ শেষে পরীক্ষামূলকভাবে ১৪ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় ট্রেন চালানো হলো আখাউড়ার গঙ্গাসাগর থেকে ভারতীয় বর্ডার শিবনগর (শূন্য রেখা) পর্যন্ত।এই রেলপথ প্রকল্প বাংলাদেশের আখাউড়াকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।

খুব শীঘ্রই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই রেলপথের উদ্বোধন করবেন বলে প্রকল্প পরিচালকের কাছ থেকে জানা গেছে।

প্রাথমিকভাবে গত ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ও ভারতের বহুল কাঙ্ক্ষিত আখাউড়া–আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের উদ্বোধন হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত জি–২০ সম্মেলনের কারণে সেটি হয়নি। পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর সময় উপস্থিত ছিলেন রেলপথ নির্মাণকারী ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার শরৎ শর্মা ও আখাউড়া–আগরতলা ডুয়েলগেজ প্রকল্পের পরিচালক (বাংলাদেশ অংশ) মো. আবু জাফর মিঞাসহ রেলওয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

এই ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্ব) প্রধান প্রকৌশলী ও আখাউড়া–আগরতলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আবু জাফর মিঞা বলেন, আখাউড়া–আগরতলা রেললাইনের কাজ শেষে ট্রায়াল ট্রেন চালানো হয়েছে। এখন উদ্বোধনের অপেক্ষা। ইমিগ্রেশন ভবনের কিছু কাজ বাকি আছে। এগুলো এরমধ্যে হয়ে যাবে। প্রকল্প পরিচালক বলেন, প্রথমে মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যবাহী ট্রেন যাবে ভারতের সেভেন সিস্টারে। এরপর যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলও শুরু হবে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পরিবহন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, আখাউড়া থেকে ভারতের ত্রিপুরার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত রেল রুটটি সাড়ে দশ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের। এখানে সাড়ে ছয় কিলোমিটার অংশ বাংলাদেশে। বাকি চার কিলোমিটার আগরতলা অংশে। প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ও রেলযোগাযোগ বাড়াতে ভূমিকা রাখবে এ রেলপথটি। আখাউড়া থেকে আগরতলা হয়ে কলকাতা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে পণ্য ও যাত্রীবাহী ট্রেন। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে রেল যোগাযোগও স্থাপন হবে এমনটিই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আখাউড়া থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ২১ মে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেঙমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই প্রকল্পের কাজ শুরু করে। দুই দেশের এ রেলপথের দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার।

এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হয়েছে ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ কোটি টাকা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ।

আখাউড়া থেকে আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল।

Update Time : ০২:১৮:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

৭১ সংবাদ অনলাইন সংস্করন।
১৬ ই সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯টা:৫৫।

৭১ সংবাদ বিশেষ প্রতিনিধি: বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্ব) প্রধান প্রকৌশলী ও আখাউড়া–আগরতলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আবু জাফর মিঞার নেতৃত্বে আখাউড়া–আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের কাজ শেষে পরীক্ষামূলকভাবে ১৪ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় ট্রেন চালানো হলো আখাউড়ার গঙ্গাসাগর থেকে ভারতীয় বর্ডার শিবনগর (শূন্য রেখা) পর্যন্ত।এই রেলপথ প্রকল্প বাংলাদেশের আখাউড়াকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।

খুব শীঘ্রই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই রেলপথের উদ্বোধন করবেন বলে প্রকল্প পরিচালকের কাছ থেকে জানা গেছে।

প্রাথমিকভাবে গত ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ও ভারতের বহুল কাঙ্ক্ষিত আখাউড়া–আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের উদ্বোধন হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত জি–২০ সম্মেলনের কারণে সেটি হয়নি। পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর সময় উপস্থিত ছিলেন রেলপথ নির্মাণকারী ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার শরৎ শর্মা ও আখাউড়া–আগরতলা ডুয়েলগেজ প্রকল্পের পরিচালক (বাংলাদেশ অংশ) মো. আবু জাফর মিঞাসহ রেলওয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

এই ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্ব) প্রধান প্রকৌশলী ও আখাউড়া–আগরতলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আবু জাফর মিঞা বলেন, আখাউড়া–আগরতলা রেললাইনের কাজ শেষে ট্রায়াল ট্রেন চালানো হয়েছে। এখন উদ্বোধনের অপেক্ষা। ইমিগ্রেশন ভবনের কিছু কাজ বাকি আছে। এগুলো এরমধ্যে হয়ে যাবে। প্রকল্প পরিচালক বলেন, প্রথমে মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যবাহী ট্রেন যাবে ভারতের সেভেন সিস্টারে। এরপর যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলও শুরু হবে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পরিবহন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, আখাউড়া থেকে ভারতের ত্রিপুরার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত রেল রুটটি সাড়ে দশ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের। এখানে সাড়ে ছয় কিলোমিটার অংশ বাংলাদেশে। বাকি চার কিলোমিটার আগরতলা অংশে। প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ও রেলযোগাযোগ বাড়াতে ভূমিকা রাখবে এ রেলপথটি। আখাউড়া থেকে আগরতলা হয়ে কলকাতা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে পণ্য ও যাত্রীবাহী ট্রেন। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে রেল যোগাযোগও স্থাপন হবে এমনটিই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আখাউড়া থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ২১ মে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেঙমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই প্রকল্পের কাজ শুরু করে। দুই দেশের এ রেলপথের দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার।

এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হয়েছে ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ কোটি টাকা।