৭১সংবাদ অনলাইন সংস্করন।
২২ শে অক্টোবর,২০২৩, ২১টা:৩৬।
৭১সংবাদ অনলাইন নিউজ : চট্টগ্রামের পাথরঘাটা রাধাগোবিন্দ ও শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দিরে বাংলাদেশে প্রথম ১১ কুমারী মায়ের পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ রোববার (২২ অক্টোবর) সকালে শ্যামানন্দ দাস মোহন্ত মহারাজের পৌরহিত্যে এ পূজা হয়।
ভৈরবী নামে পূজিত হয়েছেন ১২ বছরের পূজা দাশ, রুদ্রাণী নামে ১১ বছরের অস্মিতা সেন, কালসন্দর্ভা নামে ৯ বছরের সুভদ্রা বিশ্বাস, মালিনী নামে ৭ বছরের নিভৃতি দত্ত, তিথি দাশ, আদ্রিতা বিশ্বাস ও আদ্রিতা চৌধুরী, কুব্জিকা নামে ৮ বছরের পৌষালী রায় ও প্রীত ধর, অপরাজিতা নামে কৃত্তিকা চৌধুরী, কালসন্দর্ভা নামে আনমোল বণিক।
সকালে ১১ জন কুমারী মায়ের হাতে দেয়া হয় ফুল, কপালে সিঁদুরের তিলক, আর পায়ে আলতা। এরপর সুসজ্জিত আসনে বসিয়ে ষোড়শোপচারে পূজা করা হয়। চারদিক মুখরিত শঙ্খ, উলুধ্বনি আর মায়ের স্তব-স্তুতিতে। এ পূজা দেখতে সকাল থেকেই মণ্ডপে ভিড় করছেন হাজার হাজার পূণ্যার্থী। ভক্তদের কষ্ট দূর করতে এ বছর দেবী দুর্গা এসেছেন ঘোড়ায় চড়ে। আর বিজয়া দশমীর দিনে একই বাহনে ছেড়ে যাবেন মর্ত্যলোক।
মোহন্ত শ্যামানন্দ দাস বলেন, শাস্ত্রমতে সাধারণত এক থেকে ষোল বছরের অজাতপুষ্প সুলক্ষণা যে কোনও বর্ণের ও গোত্রের কুমারীকে পূজা করা এবং একাধিক কুমারীর অংশগ্রহণে কুমারী পূজার বিধান থাকায় অংশগ্রহণকারী এগারজন কুমারী পূজিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, কুমারী আদ্যাশক্তি মহামায়ার প্রতীক। দুর্গার আরেক নাম কুমারী।
জানা যায়, ১৯০১ সালে ধর্মপ্রচারক স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার বেলুড় মঠে কুমারী পূজার মাধ্যমে এর প্রচলন করেন। তখন থেকে প্রতিবছর দুর্গাপূজার অষ্টমী তিথিতে এ পূজা চলে আসছে। পূজার আগ পর্যন্ত কুমারীর পরিচয় গোপন রাখা হয়। এছাড়া নির্বাচিত কুমারী পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন আচার-অনুষ্ঠান করতে পারে। শাস্ত্র অনুসারে, সাধারণত ১ থেকে ১৬ বছরের সুলক্ষণা কুমারীকে পূজা করা হয়।
আয়োজনে পূজারী ছিলেন বৈষ্ণব রুবেল দাস, তন্ত্রধারক দেবব্রত নাথ এবং সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন বৈষ্ণব বলরাম দাস, রঘু দাস, নিমাই দাস, সীতানাথ দাস।