দৈনিক একাত্তর সংবাদ
বিশেষ প্রতিনিধি।
৩০/১২/২২
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য, বাকলিয়া শহীদ এন এম জে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক আহবায়ক, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি, এবং সামাজিক সংগঠন একুশে প্রজন্মের প্রতিস্টাতা কার্যকারী সদস্য বলে দাবী করা তানজিরুল হক চৌধুরী তার ব্যাক্তিগত ফেইসবুক একাউন্ট থেকে শুধু চসিক মেয়রই নন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের অনেক নামকরা নেতাদের বিরুদ্ধে কটুক্তি করে এক স্টাটাস দেন তার ব্যাক্তিগত ফেইসবুকে।
তার ফেইসবুক একাউন্টে দেখা যায় সে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী সম্পর্কে তিনি বলেন,
” চট্টগ্রামে নালায় পডে একের পর এক মৃত্যু তারপরেও উনার হুশ নাই, ষড়যন্ত্র করার জন্য মধ্য রাত অবাধি গোপন বৈঠকের সময় বের করতে পারা মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী (বাকশালি)”
সে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন বাবুল কে ছাত্র ইউনিয়ন থেকে অনুপ্রেবেশকারী বলে উল্লেখ করেন।
সে সংসদ সদস্য এম এ লতিফ এম পি কে আওয়ামী লীগের হাইব্রিড নেতা বলে কটুক্তি করে।
সে তার স্টাটাসে রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম কে আওয়ামী লীগের নাম বিক্রি করে বিগত ১০ বছর অটেল সম্পত্তির মালিক হযেছেন বলে উল্লেখ করেন।
সে তার স্টাটাস এ আরও বলেন, বর্তমান রাজউকের
চেয়ারম্যান ডলফিন দোভাষ গত চসিক নিবাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর দের ভোট দিতে ঘর থেকেই নাকি বের হন নি।
এবং সর্বশেষ তিনি চট্টগ্রাম মহানগর অওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও চসিক এর সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন সম্পর্কে বলে, তিনি নাকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দলীয় প্রধান মানতে অস্বীকৃতি জানান, এবং খোরশেদ আলম সুজনকে দলীয় অফিস দখলকারী হিসাবে উল্লেখ্য করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের এতো বড় বড নেতাদের কটুক্তি করা এ-ই তানজিরুল হক চৌধুরীর রাজনৈতিক উত্থান শুরু হয় ৩৫ নং ওয়াড় আওয়ামী লীগের বাহাদুর গ্রুপের বাহাদুরের হাত ধরে। এরপর সে জাবেদ মাসুদের হাত ধরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাসির উদ্দিনকে সমথর্ন করা শুরু করে। এরপর ধীরে ধীরে সে চাক্তাই, খাতুনগঞ্জে এবং এর আশেপাশের এলাকায় তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ত্রাশের রাজ্বত্ব কায়েম করে রেখেছেন। এবং চাক্তাই, খাতুনগঞ্জে এবং এর আশেপাশের এলাকার ব্যাবসায়িরা তার ও তার বাহিনীর অত্যাচারে অতিস্ট হয়ে উঠেছে। এমনকি চাক্তাই ড্রাম পাট্টি এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের বহু পুরাতন গৌনশৌচাগারটি ভেঙে সেখানে তিনটি দোকান করে মাসিক ৪৫০০ টাকায় ভাড়া ও দিয়েছেন এ-ই তানজিরুল। এ-ই বিষয়ে দৈনিক পুর্বকোনে একটি প্রতিবেদন ও প্রকাশ করা হয়। প্রয়াত ছাত্রলীগ নেতা অমিত মুহুরী এবং তার বন্ধুরা বিয়ে থেকে আসার পথে বাকলিয়া মিয়াখান নগরে প্রকাশ্যে তাদের উপর গুলি করার অভিযোগ আছে এ-ই তানজিরুল এবং তার বাহিনীর উপর।
এলাকায় তানজিরুলের পরিবারের ব্যাপারে খোঁজ নিতে গেলে জানা যায় তার পরিবার সম্পর্কে আরও চাঞ্জ্যলকর তথ্য, তানজিরুল নিজেকে ছাত্রলীগের সদস্য হিসাবে বললেও তার বাবা ইসাহানুল হক চৌধুরী জামাত ইসলামের এক সক্রিয় সদস্য। তার বাবার ফেইসবুক স্টাটাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ আওয়ামীলীগের অনেক বড় বড় মন্ত্রী, এমপি সহ সিনিয়র নেতাদের নিয়ে কটুক্তিতে ভরা। শুধু তাই নই তিনি দেশে ৩য় শক্তির কোন দলকে রাস্ট্রীয় ক্ষমতায় বসানোর কথা বার বার উল্লেখ্য করেন। শুধু তাই না তিনি প্রতিনিয়ত জামাতী ইসলামি এবং হেফাজতের কর্মকান্ডের কথা তার ফেইসবুকে তুলে ধরেন। এবং তার ফেইসবুক জুড়ে সরকার বিরোধী উস্কানিমূলক কথায় ভরা। ইসাহানুল হক চৌধুরীর মতো একজন জামাত ইসলামের এক সক্রিয় সদস্য কিভাবে প্রকাশ্যে দিনের পর দিন সরকার বিরোধী উস্কানিমূলক কাজ করে যাছে ।
কে এ-ই তানজিরুল, কোথায় পেলো এতো ক্ষমতার উৎস, যে কিনা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের এতো বড় বড নেতাদের নামে প্রকাশ্যে কটুক্তি করতে চিন্তা করে না। বাবা ও ছেলে দুইজন মিলে দিনের পর দিন সরকার বিরোধী উস্কানিমূলক কমর্কান্ডে নিয়োজিত কিন্তু প্রশাসনের কাছে এ-র বিন্দু মাত্র খবর নেই। এ-ই সব তানজিরুলরা কোন দিন ছাত্রলীগের হতে পারে না, কোন নেতার কর্মী হতে পারে না। তাদের উদ্দেশ্য একটাই রাজনীতিকে হাতিয়ার হিসেবে সামনে রেখে চাদাবাজী, গুন্ডামী করা, অবৈধভাবে অর্থ সম্পত্তির মালিক হওয়া, দেশকে এবং দেশের মানুষকে সরকার বিরোধী উস্কানিমূলক কথা বলে দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে নিয়ে যাওয়া।