ঢাকা ১১:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খেজুর কেন রোজা ভাঙতে খাওয়া হয়?

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩
  • 290

দৈনিক ৭১ সংবাদ
লাইফস্টাইল ডেস্ক
এপ্রিল ৩, ২০২৩

যুগ যুগ ধরে খেজুর ছাড়া ইফতার যেন অসম্পূর্ণ এমনটাই চলে আসছে। খেজুর মুখে দিয়েই রোজা ভাঙেন রোজদাররা।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লেল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) – এর সুন্নত অনুসরণেই এ রীতি পালন করা হয়। তবে এছাড়াও খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙার পেছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি। বিষয়টি অনেকেই জানি না। খেজুর রয়েছে এমন সব পুষ্টিগুণ, যার রোজাদারের জন্য খুবই উপকারী।

পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টির জোগান দেয় খেজুর। এ ফলটি খুব সহজেই হজম হয়। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট । সারাদিন উপবাসের পরে শরীরে প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট দ্রুত পূরণ করতে সাহায্য করে এই ফল। এছাড়াও খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, তামা, সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম। এসব রাসায়নিকের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। ইফতারের সময় খেজুর খেয়ে শুধু ক্ষুধা নিবারণই হয় না; সারা দিন না খেয়ে থাকার পর অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখে। কারণ, খেজুরে প্রচুর ফাইবার থাকে, যে কারণে অল্পতেই খাবারের চাহিদা পূর্ণ হয়।

মরুর বুকে মহানবীর সঙ্গে সাহাবা, তাবেঈনরা শুধু খেজুর খেয়েই দিনের পর দিন কাটিয়ে দিতেন। তারা এতো কাজ করেও ক্লান্ত হতেন না। কারণ, খেজুর খেলে শারীরিক ক্লান্তি দূর হয় এবং দ্রুত শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।

পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, খেজুরে প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে। যেমন- গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ রয়েছে। এতে সুগারের পরিমাণ এতটাই বেশি, যে এক কামড়েই অনেকটা এনার্জি পাওয়া যায়। ফলে দীর্ঘক্ষণ উপবাসের পর শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধি করে খেজুরের এসব গুণ।

তাই রমজানে সারা দিন উপোস থেকে ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়া শরীরের জন্য খেজুর অপরিহার্য অনুসঙ্গ।

এ ছাড়া খেজুরে থাকা ডায়েটারি ফাইবারও আমাদের শরীরে দীর্ঘ সময় এনার্জি বজায় রাখে। শরীর ডিটক্সিফাই করে সারা দিন উপোস থাকার ফলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল জমা হতে পারে। আর এই খারাপ কোলেস্টেরল ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে খেজুর।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা।

খেজুর কেন রোজা ভাঙতে খাওয়া হয়?

Update Time : ০৫:০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩

দৈনিক ৭১ সংবাদ
লাইফস্টাইল ডেস্ক
এপ্রিল ৩, ২০২৩

যুগ যুগ ধরে খেজুর ছাড়া ইফতার যেন অসম্পূর্ণ এমনটাই চলে আসছে। খেজুর মুখে দিয়েই রোজা ভাঙেন রোজদাররা।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লেল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) – এর সুন্নত অনুসরণেই এ রীতি পালন করা হয়। তবে এছাড়াও খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙার পেছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি। বিষয়টি অনেকেই জানি না। খেজুর রয়েছে এমন সব পুষ্টিগুণ, যার রোজাদারের জন্য খুবই উপকারী।

পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টির জোগান দেয় খেজুর। এ ফলটি খুব সহজেই হজম হয়। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট । সারাদিন উপবাসের পরে শরীরে প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট দ্রুত পূরণ করতে সাহায্য করে এই ফল। এছাড়াও খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, তামা, সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম। এসব রাসায়নিকের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। ইফতারের সময় খেজুর খেয়ে শুধু ক্ষুধা নিবারণই হয় না; সারা দিন না খেয়ে থাকার পর অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখে। কারণ, খেজুরে প্রচুর ফাইবার থাকে, যে কারণে অল্পতেই খাবারের চাহিদা পূর্ণ হয়।

মরুর বুকে মহানবীর সঙ্গে সাহাবা, তাবেঈনরা শুধু খেজুর খেয়েই দিনের পর দিন কাটিয়ে দিতেন। তারা এতো কাজ করেও ক্লান্ত হতেন না। কারণ, খেজুর খেলে শারীরিক ক্লান্তি দূর হয় এবং দ্রুত শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।

পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, খেজুরে প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে। যেমন- গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ রয়েছে। এতে সুগারের পরিমাণ এতটাই বেশি, যে এক কামড়েই অনেকটা এনার্জি পাওয়া যায়। ফলে দীর্ঘক্ষণ উপবাসের পর শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধি করে খেজুরের এসব গুণ।

তাই রমজানে সারা দিন উপোস থেকে ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়া শরীরের জন্য খেজুর অপরিহার্য অনুসঙ্গ।

এ ছাড়া খেজুরে থাকা ডায়েটারি ফাইবারও আমাদের শরীরে দীর্ঘ সময় এনার্জি বজায় রাখে। শরীর ডিটক্সিফাই করে সারা দিন উপোস থাকার ফলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল জমা হতে পারে। আর এই খারাপ কোলেস্টেরল ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে খেজুর।