ঢাকা ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ আমাদের বিজয়ের দিন।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:১৪:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 96

৭১সংবাদ অনলাইন সংস্করন।

আপডেট: শনিবার, ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ২৫ টা ১৬।

আব্দুল্লাহ আল মোমিন।

৫২ বছর শেষ করে ৫৩ বছরে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। পরাধীনতার শেকল ভেঙ্গে বিজয়ের গৌরব গাঁথা স্মরণে রাজধানী সহ সারা দেশ আজ সেজেছে বর্ণিল সাজে।আজকের দিনে আনন্দে উদ্বেলিত পুরো জাতি। বীর জাতি হিসেবে আজ বাঙালির আত্মপ্রকাশের দিন, এই একাত্তরে এসেছিল বাঙালির চূড়ান্ত বিজয়। হাজার বছরের লালিত কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন ধরা দিয়েছিল ৩০ লাখ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে, তাই আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে স্বমহিমায়।

বাংলার আকাশে চৈত্রের দীপ্তি রোদ, শ্রাবণে অবিরাম বৃস্টির রিমঝিম গান, শরতের আকাশে  জোছনা ছড়িয়ে পড়া, শীতের রাতে নিন্দ্রিত ধরণীর জড়িমা,বসন্তের বাতাসে নতুন উন্মাদনা, এই তো আমার বাংলাদেশ আমার সোনার বাংলা রূপসী বাংলা। তবে বাংলার মানুষকে যুগে যুগে যেতে হয়েছে নানা শোষণ-বঞ্চনার মধ্য দিয়ে,বাঙালি সব সময়ই মেনে নেয়ার প্রশ্নে থেকেছে অবিচল, তাইতো বাংলাদেশের ইতিহাস,জয়ের-বিজয়ের।

১৯৪৭ সালে পাকিস্তান নামের রাষ্ট্রের সৃষ্টি। তখন পুরো পাকিস্তানের জনসংখ্যা ছিল ছয় কোটি নব্বই লাখ, যার মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানেরই জনসংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৪০ লাখ। এরপরেও মাতৃভাষার প্রশ্নে বাঙালিকে রক্ত দিতে হয়েছে। নানা সংগ্রামের পথ ধরে ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রক্তের বিনিময় মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠা পায়।এরপর শোষণ-বঞ্চনার কাল। অর্থনীতিক-রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালি দীর্ঘ সংগ্রামের কাল। একাত্তরের শুরুতেই উত্তাল হতে শুরু করে দেশ, এরপর অগ্নিঝরা মার্চ। ৭ মার্চ জাতির পিতা দিলেন ঐতিহাসিক ভাষণ।জাতির পিতার সেদিনের তেজদীপ্ত ভাষণে সাধারণ বাঙালি পরিনত হযেছিলো যোদ্ধায়।দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের প্রাণের আত্মদানের বিনিময়ে এলো চূড়ান্ত সেক্ষণ।১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বীর যোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।

বিজয় দিবস উদযাপনে জাতীয় সংসদ ভবন থেকে শুরু করে রাজধানী সহ দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, বেসরকারি ভবন, সড়ক, অলি গলিতে উড়ছে প্রিয় পতাকা।

৩০ লাখ শহীদ আর মহান মুক্তিযুদ্ধকে বুকে ধারণ করে দেশকে উন্নতির শীর্ষে নিয়ে যাবে আমাদের এই তরুণ প্রজন্ম। এবারের বিজয় সমৃদ্ধ হবে প্রিয় মাতৃভূমি, কাটবে সব প্রতিকূলতা এমন প্রত্যাশা কোটি বাঙালির।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

সাড়ে ৫০০ কোটি টাকার দেনা শোধ করেছি চসিকের: চসিক মেয়র।

আজ আমাদের বিজয়ের দিন।

Update Time : ০৮:১৪:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩

৭১সংবাদ অনলাইন সংস্করন।

আপডেট: শনিবার, ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ২৫ টা ১৬।

আব্দুল্লাহ আল মোমিন।

৫২ বছর শেষ করে ৫৩ বছরে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। পরাধীনতার শেকল ভেঙ্গে বিজয়ের গৌরব গাঁথা স্মরণে রাজধানী সহ সারা দেশ আজ সেজেছে বর্ণিল সাজে।আজকের দিনে আনন্দে উদ্বেলিত পুরো জাতি। বীর জাতি হিসেবে আজ বাঙালির আত্মপ্রকাশের দিন, এই একাত্তরে এসেছিল বাঙালির চূড়ান্ত বিজয়। হাজার বছরের লালিত কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন ধরা দিয়েছিল ৩০ লাখ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে, তাই আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে স্বমহিমায়।

বাংলার আকাশে চৈত্রের দীপ্তি রোদ, শ্রাবণে অবিরাম বৃস্টির রিমঝিম গান, শরতের আকাশে  জোছনা ছড়িয়ে পড়া, শীতের রাতে নিন্দ্রিত ধরণীর জড়িমা,বসন্তের বাতাসে নতুন উন্মাদনা, এই তো আমার বাংলাদেশ আমার সোনার বাংলা রূপসী বাংলা। তবে বাংলার মানুষকে যুগে যুগে যেতে হয়েছে নানা শোষণ-বঞ্চনার মধ্য দিয়ে,বাঙালি সব সময়ই মেনে নেয়ার প্রশ্নে থেকেছে অবিচল, তাইতো বাংলাদেশের ইতিহাস,জয়ের-বিজয়ের।

১৯৪৭ সালে পাকিস্তান নামের রাষ্ট্রের সৃষ্টি। তখন পুরো পাকিস্তানের জনসংখ্যা ছিল ছয় কোটি নব্বই লাখ, যার মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানেরই জনসংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৪০ লাখ। এরপরেও মাতৃভাষার প্রশ্নে বাঙালিকে রক্ত দিতে হয়েছে। নানা সংগ্রামের পথ ধরে ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রক্তের বিনিময় মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠা পায়।এরপর শোষণ-বঞ্চনার কাল। অর্থনীতিক-রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালি দীর্ঘ সংগ্রামের কাল। একাত্তরের শুরুতেই উত্তাল হতে শুরু করে দেশ, এরপর অগ্নিঝরা মার্চ। ৭ মার্চ জাতির পিতা দিলেন ঐতিহাসিক ভাষণ।জাতির পিতার সেদিনের তেজদীপ্ত ভাষণে সাধারণ বাঙালি পরিনত হযেছিলো যোদ্ধায়।দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের প্রাণের আত্মদানের বিনিময়ে এলো চূড়ান্ত সেক্ষণ।১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বীর যোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।

বিজয় দিবস উদযাপনে জাতীয় সংসদ ভবন থেকে শুরু করে রাজধানী সহ দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, বেসরকারি ভবন, সড়ক, অলি গলিতে উড়ছে প্রিয় পতাকা।

৩০ লাখ শহীদ আর মহান মুক্তিযুদ্ধকে বুকে ধারণ করে দেশকে উন্নতির শীর্ষে নিয়ে যাবে আমাদের এই তরুণ প্রজন্ম। এবারের বিজয় সমৃদ্ধ হবে প্রিয় মাতৃভূমি, কাটবে সব প্রতিকূলতা এমন প্রত্যাশা কোটি বাঙালির।